Bangla choto golpo
ঝকঝকাঝক ট্রেন চলেছে
ট্রেন ভ্রমণ নিয়ে অনেকের মুখে অনেক গল্প শুনেছি। পেপার পত্রিকা, গল্পে পড়েছি। ট্রেন ভ্রমণ নিয়ে আমার তেমন সুখ স্মৃতি নেই। ট্রেন ভ্রমনের ইংরেজি রচনা মুখস্থ করার সময় বুঝেছি ট্রেন কি জিনিস।
লোকাল ট্রেন। দুটা স্টেশন পার হলেই আমারটা। চোখ বুঝে আছি। মস্তিষ্ক অন্য কিছু নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে। অলস মস্তিষ্ক হলে যা হয়।
আপনি আমি যে ট্রেনে ভ্রমন করছি সেই ট্রেনে আমাদের অজান্তেই কেউ কাটা পড়ছে। কি বিভৎস ব্যাপার! একটা মানুষের বুক চিরে ট্রেন ছুটে চলে দিগন্তে। মিলিয়ে দেয় আপনজন। অথচ আমরা কখনো খেয়াল করি না। প্রতিদিন কত মানুষ এভাবে প্রান বিসর্জন দেয়? কেনইবা দেয়? তার সঠিক পরিসংখ্যান কি আছে। একজন মানুষ কতখানি কষ্ট পেলে এমন পথ বেছে নিতে পারে। হেরে যাওয়া মানুষকে নিয়ে পৃথিবী ভাবে না। আমিও ভাবতে চাই না। ভাবা উচিৎ না।
-
চোখ মেলে দেখি একটি বাচ্চা আমার দিকে তাকিয়ে আছে। মুখোমুখি সিটে এক দম্পতি বসেছেন। তাদের কন্যা। বড়জোর দশ কি বারোমাস বয়স হবে। বাচ্চারা অল্প সল্প বাবা মায়ের মতো হয় কিন্ত এই বাচ্চা অবিকল তার মায়ের মতোই হয়েছে। ভদ্রমহিলা কে বেশ চঞ্চলা মনে হলো। লোকাল ট্রেনে হকারের শেষ নেই। যে হকার আসছে, মহিলা বাচ্চা কে জিজ্ঞেস করছে- মা মনি জলপই খাবে? মা মনি আমড়া খাবে? মা মনি চানাচুর খাবে?
বাচ্চা হ্যা না কিছুই বলছে না। কথা বলার মতো বয়স ওর হয়নি। তবু ভদ্রমহিলা বেশ আগ্রহ করেই কিনছেন এবং মা বেটিতে জলপই, আমড়া, চানাচুর খাচ্ছেন। তিনি হয়ত সরাসরি তার স্বামী কে বলতে লজ্জা পাচ্ছেন। তার এসব খেতে ইচ্ছে করছে। তবে তাদের ভেতর বেশ চোখাচোখি হচ্ছে। আর আমি তাদের মেয়ের সাথে চোখাচোখি করছি /
বাচ্চার মুখে তার মা চানাচুর দিচ্ছেন। হঠাৎ বাচ্চার চোখমুখ লাল হয়ে গেলো। সে আতংকিত। তারপর চিৎকার করে কান্না জুড়ে দিলো। মহিলা আর তার স্বামী পানির জন্যে ছোটাছুটি করছেন। বাচ্চাকে কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। পকেটে হাত দিয়ে দেখি একটা চকলেট। তাতেই কাজ হলো। প্লাটফর্মে নেমে খেয়াল করলাম। এতো মানুষের ভিড়ে বাচ্চাটা জানালা দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তার নামটাই জানা হয়নি.....।
(পানু মিয়া কে নিয়ে আমার লেখা চলবে ইনশাল্লাহ । ব্লগের সাথে যুক্ত থাকুন। নিয়মিত আপডেট থাকছে। পরের গল্প আসছে খুব শীঘ্রই)
(পানু মিয়া কে নিয়ে আমার লেখা চলবে ইনশাল্লাহ । ব্লগের সাথে যুক্ত থাকুন। নিয়মিত আপডেট থাকছে। পরের গল্প আসছে খুব শীঘ্রই)
Post a Comment