Header Ads

bangla choto golpo




মিলু এই নিয়ে তিনবার গোসল করে ফেলেছে। তবু গা ঘিন ঘিন করছে। পাকস্থলী মোচড় দিয়ে বমি আসছে। লোকটা নাকি মন্ত্রণালয় পর্যায়ের। বড় বড় গোফ। একটু পর পর সিগারেট জ্বালায়।তাজা সিগারেট এর গন্ধ ভরে থাকে মুখে। মিলুর দম প্রায় বন্ধ হয়ে আসে। মাঝখানে একবার লোকটার ফোন এসেছিল। খুব সম্ভব তার বউ ফোন করেছিল। কি মধুর গলায় কথা শেষ করলো! চিন্তার রেখা নেই মুখে। সন্ধ্যা হয়ে এলো।দিন রাত মিলে এক ফোটাও ঘুমাতে পারে নি সে।চোখ বুঝে বিছানার উপর পড়ে আছে। - মিলু, এই মিলু? মিলুর ভালো নাম ইয়াসমিন আক্তার। ইডেন মহিলা কলেজে প্রথম বর্ষে বোটানি তে ভর্তি হয়েছে। ছোট বেলা থেকেই ব্রাইট স্টুডেন্ট ছিলো। কিন্ত সংসারে অভাবের কারনে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে পারেনি। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সহযোগীতায় এই ফান্ড সেই ফান্ড করে কোনো রকমে তার অনার্স পড়া নিশ্চিত হয়েছে। - গরিবের ঘরে সুন্দরি মেয়ে সৌভাগ্যের চাইতে বেশি কাল হয়ে দাঁড়ায় । ক্লাস টেনে পড়া অবস্থায় একবার ইয়াসমিন এর বিয়ে ঠিক হয়। শেষ পর্যন্ত এলাকার জনপ্রতিনিধির কারনে হয়ে ওঠেনি। - বাবা মাস শেষে মেয়ের হাতে দু হাজার টাকা তুলে দিতে পারেন কোনো মতে। যা ঢাকা শহরে খেয়ে পরে বেচে থাকার জন্যে অপ্রতুল। এতো বড় আর অজানা শহরে মেয়েটা অসহায় হয়ে পড়ে। কাউকে কিছু জানাতে পারে না। সম্প্রতি তার একটি ভালো বান্ধবী হয়েছে। শান্তা। খুব চঞ্চল মেয়ে। সব সময় হেসে হেসে কথা বলে। অল্প কথায় হাসে। শান্তার গলার আওয়াজ,শান্তা ডাকছে। - কি রে তুই অসময় আনমনা হয়ে কি ভাবিস এতো? মিলু চুপ করে থাকে। শান্তা একটা খাম বিছানার পাশে রেখে চলে যায়। মিলু যাবে। এর শেষ সে দেখেই ছাড়বে। এছাড়া তার উপায় নেই। কম চেষ্টা করেনি সৎ পথে উপার্জন এর।লাভ কিছু হয়নি।অনেকে এমন ভাবে তাকিয়েছে তাতে শুধু চোখ দিয়ে অনেকবার ধর্ষিত হয়েছে সে। - রাত ১১টা। মিলু খামে লেখা ঠিকানায়। মিলুর ফোন বাজছে। রাশেদ ফোন করেছে। মিলু ফোন ধরে কোনোমতে গোঙ্গিয়ে উঠলো - আমাকে তোমার কাছে নিয়ে যাও। আমার খুব ভয় করছে। ওপাশ থেকে রাশেদের উৎকন্ঠা তরঙে মিলিয়েছে। (পরদিন মিলু পড়াশোনা ছেড়ে চলে যায়। যে শিক্ষা এমন শিক্ষিত সমাজ গড়ে তার প্রয়োজন নেই মিলুর । রাশেদ তাকে ফেরায়নি। তাদের একটি মেয়ে হয়েছে। মিলু পারেনি কিন্তু অনেক মিলুই বাধ্য

1 comment:

  1. nice writing skill. wish u all the best for your next story .waiting for anouther better next.

    ReplyDelete