Bangla choto golpo
পানু মিয়া
তার নাম কেনো পানু হয়েছিল সে ইতিহাস
অজানা । জন্মের পর তার
বাবা তাকে পানু ডাকা শুরু করে। বয়স বাড়ার সাথে তার পানু নামটা চাপা পড়ে যায় । এই নিয়ে পানুর মনে হাল্কা দুঃখ আছে । পানু; কেমন অদ্ভুত নাম! তবু এই নামটা তার খুব পছন্দের । ফরমানুদ্দিন নামটা তার ভালো লাগে না । কেমন বয়স্ক মানুষের মতো নাম । আর সে পচিঁশ বছরের টগবগে যুবক । স্বাস্থ্যটা শরীরের সাথে একেবারে মানিয়ে
যাওয়া । পাঞ্জাবিতে তাকে
গল্প উপন্যাসের নায়েকর মতো লাগে। চেহারায় যতটা সাদাসিধে, চরিত্রে ততটাই বৈচিত্র্যময় ছেলে পানু ।
মেয়েটির সাথে তার এই নিয়ে তৃতীয় দেখা এবং এটাই বিশেষ দেখা । সেদিন সকাল থেকেই বৃষ্টি, তুমুল বৃষ্টি । এই নিয়ে তার মোটেও দুশ্চিন্তা নেই । সে কবিতা খুব ভালোবাসে । কয়েকটি কবিতা সে লিখে ফেলেছে তাকে শোনাবে বলে । মেয়েটির সাথে তার পরিচয় এই কবিতার সূত্র ধরেই। মেয়েটি লাব্রেরীতে এসেছিল বই কিনতে। কিন্তু কিছুতেই ঠিক করতে পারছিলো না কোন বইটি সে কিনবে ।
সেবার পানুর প্রথম কবিতার বই বেরিয়েছে । বিক্রি খারাপ দেখে বই মেলার পর, পানু নিজেই হেটে হেটে বই বিক্রি করতে নেমে যায় । নীলক্ষেতের একটি লাইব্রেরীর সামনে মেয়েটিকে দাড়িয়ে থাকতে দেখে তার মায়া হয় । সে এগিয়ে গিয়ে মেয়েটির হাতে বইটি ধরিয়ে দিয়ে বলে়, ভালো লাগলে বইয়ের ভিতরে লেখা ঠিকানায় টাকা পাঠাতে ।
টাকা আসেনি, মেয়েটি নিজেই হাজির হয় পানুর ঠিকানায় ।
- আমার ধারণা কবিতাগুলো আপনার লেখা নয় । আপনি কোন বড় কবির কবিতা চুরি করেছেন ।
পানু হেসে উত্তর দেয়, জ্বী আপনি ঠিকই বলেছেন"
এই নিয়ে কথা এগুতে থাকে। প্রেমের গোড়াপত্তন সেখানেই ।
ঠিক ১১টায় উপস্থিত হয়ে গাছের নিচে দাড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজে অপেক্ষা করতে থাকে পানু । মেয়েটির আসতে দেরি হচ্ছে দেখে তার প্রচন্ড অভিমান হয় । বৃষ্টিতে একটি মেয়ের আসতে দেরি হতেই পারে আবার না আসাটাও স্বাভাবিক। কিন্তু তাকে কে বোঝাবে । প্রচন্ড অভিমানী ছেলে পানু। কয়েক ঘন্টা কেটে যায়। পানুর হাতে কবিতার পৃষ্ঠায় লেখাগুলো অস্পষ্ট হতে থাকে । একসময় সে চিৎকার করে কবিতা আবৃত্তি শুরু করে ।
'আমি বহুমাইল দূরে আছি, নিয়ন্ত্রণের বাহির থেকে বলছি, তুমি নিজেকে আগলে রেখো..'
এই বৃষ্টিতেও কৌতুহলী শ্রোতা জমে যায় । যাদের বেশিরভাগের আগ্রহ কবিতা নয়, পাগল দেখা । জটলা থেকে খানিক দূরে একটি মেয়ে । ভেজা চুল গুলো লেপ্টে আছে। চোখের কাজল ধুয়ে শৈল্পিক ছাপ একেছে তার মুখে । তার হাতে কদমফুল, সেও দাড়িয়ে কবিতা শুনছে । মেয়েটির নাম নাঈমা....
( এই পানু ছেলেটার উপর নজর রাখুন। ছেলেটিকে নিয়ে অনেক অনেক দূর যাওয়ার ইচ্ছে আছে )
মেয়েটির সাথে তার এই নিয়ে তৃতীয় দেখা এবং এটাই বিশেষ দেখা । সেদিন সকাল থেকেই বৃষ্টি, তুমুল বৃষ্টি । এই নিয়ে তার মোটেও দুশ্চিন্তা নেই । সে কবিতা খুব ভালোবাসে । কয়েকটি কবিতা সে লিখে ফেলেছে তাকে শোনাবে বলে । মেয়েটির সাথে তার পরিচয় এই কবিতার সূত্র ধরেই। মেয়েটি লাব্রেরীতে এসেছিল বই কিনতে। কিন্তু কিছুতেই ঠিক করতে পারছিলো না কোন বইটি সে কিনবে ।
সেবার পানুর প্রথম কবিতার বই বেরিয়েছে । বিক্রি খারাপ দেখে বই মেলার পর, পানু নিজেই হেটে হেটে বই বিক্রি করতে নেমে যায় । নীলক্ষেতের একটি লাইব্রেরীর সামনে মেয়েটিকে দাড়িয়ে থাকতে দেখে তার মায়া হয় । সে এগিয়ে গিয়ে মেয়েটির হাতে বইটি ধরিয়ে দিয়ে বলে়, ভালো লাগলে বইয়ের ভিতরে লেখা ঠিকানায় টাকা পাঠাতে ।
টাকা আসেনি, মেয়েটি নিজেই হাজির হয় পানুর ঠিকানায় ।
- আমার ধারণা কবিতাগুলো আপনার লেখা নয় । আপনি কোন বড় কবির কবিতা চুরি করেছেন ।
পানু হেসে উত্তর দেয়, জ্বী আপনি ঠিকই বলেছেন"
এই নিয়ে কথা এগুতে থাকে। প্রেমের গোড়াপত্তন সেখানেই ।
ঠিক ১১টায় উপস্থিত হয়ে গাছের নিচে দাড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজে অপেক্ষা করতে থাকে পানু । মেয়েটির আসতে দেরি হচ্ছে দেখে তার প্রচন্ড অভিমান হয় । বৃষ্টিতে একটি মেয়ের আসতে দেরি হতেই পারে আবার না আসাটাও স্বাভাবিক। কিন্তু তাকে কে বোঝাবে । প্রচন্ড অভিমানী ছেলে পানু। কয়েক ঘন্টা কেটে যায়। পানুর হাতে কবিতার পৃষ্ঠায় লেখাগুলো অস্পষ্ট হতে থাকে । একসময় সে চিৎকার করে কবিতা আবৃত্তি শুরু করে ।
'আমি বহুমাইল দূরে আছি, নিয়ন্ত্রণের বাহির থেকে বলছি, তুমি নিজেকে আগলে রেখো..'
এই বৃষ্টিতেও কৌতুহলী শ্রোতা জমে যায় । যাদের বেশিরভাগের আগ্রহ কবিতা নয়, পাগল দেখা । জটলা থেকে খানিক দূরে একটি মেয়ে । ভেজা চুল গুলো লেপ্টে আছে। চোখের কাজল ধুয়ে শৈল্পিক ছাপ একেছে তার মুখে । তার হাতে কদমফুল, সেও দাড়িয়ে কবিতা শুনছে । মেয়েটির নাম নাঈমা....
( এই পানু ছেলেটার উপর নজর রাখুন। ছেলেটিকে নিয়ে অনেক অনেক দূর যাওয়ার ইচ্ছে আছে )
Post a Comment